নিঃশব্দ ভালবাসা [ Nisshobdo Valobasa]
शनिवार, 1 अक्तूबर 2016
Freedom Fighter from Narkelbaria
Titu Mir was born as Syed Mir Nisar Ali on 27 January 1782 (14 Magh 1182 in Bengali calendar), in Chandpur village, in North 24 Parganas district (currently in West Bengal, India). His father was Syed Mir Hassan Ali and mother was Abida Ruqayya Khatun.
Titu Mir’s education began in his village school, after which he moved to a local Madrassa. By the time he was 18 years of age, he had become a Hafiz of the Qur’an and a scholar of the Hadithand the Muslim traditions. He was also accomplished with Bengali, Arabic, and Persian languages. During this time he came under the influence of several Wahhabi seers, who preached a mixture of militant Islam and anti-colonial thought and saw both religious and political reform as in Bengal of that time.He was a disciple of Syed Ahmad Barelvi whose teachings of struggle against non Muslim oppression influenced his thoughts.
Titu Mir opposed a number of discriminatory measures in force at that time which included taxes on the wearing of beards and on mosques. The rift between Titu Mir and his followers on one side, and the local Zamindars supported by the British rulers on the other side, continued to widen, and armed conflict broke out at several places. Titu Mir had himself belonged to a “peyada” or martial family and himself had served under a Zamindar as a ‘lathial or ‘lethel’, a fighter with the quarterstaff or lathi, (which in Bengal is made of bamboo, not wood) and he was actively training his men in hand to hand combat and the use of the lathi. This weapon in skilled hands is deadly against anything except projectile weapons. He thus started military training inside the Mosques and Madrassahs. Since his army was mostly made up of poor peasants, they had no horses as cavalry.So they also started to steal horses from the stables of the Zamindars and from the British Police Stations. To face the situation and to give protection to the peasants Titu Mir formed a “Mujahid”force and trained them in lathi and other indigenous arms. The increasing strength of Titu Mir alarmed the zamindars who however attempted involve the British in their fight against him. Being instigated by the zamindar of Gobardanga, Davis, the English kuthial (factor) of Mollahati, advanced with his force against Titu Mir, but were routed. Titu Mir filed a complain to the government of East India Company against the oppression of the zamindars, but to no result. The followers of Titu Mir, believed to have grown to 15,000 by that time, readied themselves for prolonged armed conflict, and they built a fort of bamboo at Narikelbaria, near the town of Barasat. This was surrounded by a high double curtain wall of bamboo stakes filled in with mud cladding and sun-baked. Titu Mir declared independence from the British, and regions comprising the current districts of 24 Parganas, Nadia and Faridpur came under his control. The private armies of the Zamindars and the forces of the British met with a series of defeats at the hands of his men as a result of his strike-and-retreat guerrilla tactics.
Finally, the British forces, led by Lieutenant Colonel Stewart consisting of 100 cavalry, 300 native infantry and artillery with two cannons, mounted a concerted attacks on 14 November 1831, on Titu Mir and his followers. Armed with nothing more than the bamboo quarterstaff and Lathi and a few swords and spears, Titu Mir and his forces could not withstand the might of modern weapons, and were overwhelmed. The bamboo castle was destroyed, and Titu Mir was killed along with several of his followers.
The commanding officer of the British forces noted his opponent’s bravery in dispatches, and also commented on the strength and resilience of bamboo as a material for fortification, since he had had to pound it with artillery for a surprisingly long time before it gave way. After a long-drawn trial, Golam Rasul, Titumir’s nephew and second in command was hanged and some 350 others were sentenced to transportation for life. (From Wikipedia)
আত্মঅনুভূতি
জীবনের রং খুজতে গিয়ে
নিজের রং টাই হারিয়ে ফেলেছি।
অনেক হারিয়েছি,কিছু পাবার আশায়…
সব হারানোর পর পাওয়ার বেলায় দেখি
“”Game Over””….
তাই এখন বুজলাম,
পাওয়ার অসমাপ্তিতেই
চাওয়ার সমাপ্তি ঘটে””…….
নারী
প্রত্যেক সফল পুরুষের পিছনে একজন নারীর অবদান থাকেই….একজন সৎসভ্য,আদর্শ নারীই পারে পুরুষ কে সুশৃংঙ্খল জীবন গঠনে সহায়তা করতে….
-
জলকণা
কখনো সময়ের ফাঁকে জেনে রেখো
এই ব্যস্ত শহরে
এতোটুকু অবসরের জন্যে
হন্যে হয়ে থাকা বিকেল গুলোয়
তুমি আমার ছিলে না …
জলকনার আজ মন খারাপ । মন খারাপের দিন গুলো খুব
একা কাটে বলেই হয়তো জলকনার বিছানায় রাখা স্পাইরাল
বাইন্ডিং করা খাতার পাতায় পাতায় ভরা অদ্ভূত সব পংক্তি ।
হয়তো তা কখনোই কবিতা নয় , জলকনা কবিতার অত হিসেব
জানে না , মাত্রা , চরণ নির্মানেও হয়তো ভুল থাকে , তবু
জল লিখে লিখে খাতা ভরিয়ে ফেলে … অনেক আগের
কোন এক সোনা ঝরা সন্ধ্যায় সমুদ্রের
জলে ভাসিয়ে দিয়েছিলো এক কাঁচের
শিশিতে ভালো লাগার মানুষকে উদ্দেশ্য করে মনের
নিংড়ানো আবেগ , জলকনা সবসময় চাইতো ওর
জীবনে কোন মিরাকল ঘটুক , ওর চাওয়া নিখাঁদ
ছিলো ঠিকই কিন্তু সময় আজকাল বড় পানশে , ডিজিটাল এর
যুগে নাটকীয়তা হয়তো ঘটে কিন্তু রূপকথার
মতো তো নয়ই !
জলকনার অতশত ভাববার প্রয়োজন ছিলো না , সে শুধু
অপেক্ষায় থাকতো উত্তরের , প্রাণপনে বুকের
মাঝে একটা স্বপ্নকে বেঁধে রেখেছিলো ..
উত্তর আসবে নিশ্চয়ই !
যেদিন গুলোতে পরম সত্যিটা মনের
আশেপাশে গুনগুনিয়ে যেতো সেদিন
গুলোতে জলকনার ভারী থমথমে থাকতো মুখ আর
ভারী হতে থাকতো সেই খাতা !
জলকনার প্রিয় বন্ধুটির নাম সমুদ্র , দুজনের পরিচয়
অন্তর্জালের কোন এক বকর বকর বাক্সে , আজ পর্যন্ত
দেখা হয়নি তাদের , জলের তাতে খুব দুঃখ যদিও সমুদ্র
গা করে না , জলকনা যখনি সাক্ষাত প্রসঙ্গ তুলে সমুদ্র
কীবোর্ডে ঝড় তুলে না দেখা হবার সুফল
লিখে লিখে জলকনার ল্যাপটপের স্ক্রীণ
ভরে ফেলে !
সমুদ্র খুব বাউন্ডুলে , মাঝে মাঝেই কই কই যেন ডুব
দেয় , একমাত্র বন্ধুটির এরকম আচরণে জলকনার
বিরক্তি লাগে খুব … অভিমানে মন ভারী হয়ে যায় ..
হবেই বা না কেন ? ওর কি দশটা পাঁচটা বন্ধু আছে আর ?
সমুদ্রের খুব ভাব বেড়েছে , জলকনার মেজাজ
খিঁচে , বিগড়ে যায় , ডুবন্ত সমুদ্রের পাত্তা নেই !
তার ও কদিন বাদে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে আসে জল ।
একবিকেলে ওর রুমের গরাদ ছাড়া জানালায়
দাঁড়িয়ে কাকচক্ষুর মত জলে টুপটুপ পুকুরের
পাড়টা দেখে বসার লোভ হয় খুব ! গ্রামে জলকনাদের
খুব নাম ডাক , এখনো আগে পিছে মানুষের লাইন
পড়ে যায় ওরা গেলে ! এই বিকেলটা কেমন
করে ফাঁকা হলো কে জানে ?
জল পুকুর পাড়ে গিয়ে বসে থাকে ! সমুদ্রের জন্য
মনের ভেতর ঝড় উঠে খুব , ছেলেটা খুব খারাপতো !
সব বোঝে তবু কিছু বলে না কেন ?
হঠাত্ বাঁধ ভাঙ্গে চোখের নদী ! হাঁটুতে মুখ
গুঁজে মনটাকে শান্ত করার ব্যর্থ চেষ্টায় ক্লান্ত জল
পুকুরের পানি দেখে চমকে ওঠে ! ওতে শুধু ওর
ছায়া নয় , ওখানে আরো কেউ আছে !!
ছায়া হাত বাড়িয়ে দেয় , জল ও কী ভেবে হাত
বাড়ায় …তারপর … জলকনার বাড়িতে শোকের মাতম
ওঠে ! জলকনা যে অন্যরকম মানুষ তা কি আর সবাই
জানতো ? জলকনা যে জলের
মেয়ে সেকথা ভুলেছিলো সবাই একমুহুর্তের জন্য আর
তখনি মেয়ে মিশে গেলো জলে !
গভীর রাতে জলকনা স্থলের পৃথিবী দেখে আর
সারাবেলা জলের !
ওদিকে সমুদ্র জলের সাথে কথা বলতে আকুল
হয়ে আছে , সৈকতে পেয়েছে এক কাঁচের
শিশি ,সাথে ছোট চিরকুট-
‘‘হয়তোবা বারবার ছুটে আসি
বলা হয়না মরমে
নিখুঁত আচড় কেটে
করো তুমি হৃদয়ে ক্ষত নির্মাণ
জলের সায়রে ভেসে তবু
কাছাকাছি আসি
হয়তোবা ভালবাসি…!’’
সমুদ্র জলকে অনেক ভালবাসে , কিন্তু যেদিন
শুনেছিলো জলের
ছেলেমানুষী ভাবনা গুলোকে নিজেকে শামুকের মত
খোলকে আটকে রেখেছিলো !
সত্যি কথা বলতে দোষ নেই , নিষ্পাপ জলের একটু
খানি ভালবাসা পাবার আকাঙ্খা গুলো বেশ উপভোগ করত
সমুদ্র ! কাকতালীয় হোক আর যাই হোক , জলের
ভাসানো কাঁচের শিশি যখন সমুদ্র
হাতে পেলো বুঝতে আর বাকি থাকেনা সমুদ্রের
হয়তো ওদের মাঝে কিছু সত্যিই আছে ! জলকে ছোট
ছোট বার্তা পাঠায় সমুদ্র
THERE IS SOMETHING CALLED MIRACLE , YOU CANT
IGNORE OR EXPLAIN IT…..
জলের দেখা নেই ! সমুদ্র কষ্ট পায় , রাতের পর রাত পিসির
স্ক্রীণে তাকিয়ে থাকে এই বুঝি জল এলো ! কিন্তু
অভিমানী জলকন্যার দেখা মেলে না !
সমুদ্রের ইচ্ছে করে ছুটে বেড়িয়ে যেতে ,
কোথায় তুমি জলকনা ? কোথায় ??
হতচ্ছাড়া চোখের জলে সমুদ্রের বালিশ ভিজে যায় ,
ঝাপসা হয়ে যায় বইয়ের পাতা !
জলজোছনার রাতে জলকণা স্থলে ফিরে আসে ।
জোছনার আগের রাতে জলপৃথিবীটা কেমন অসহ্য
ঠেকতে থাকে জলকণার কাছে , সব ওলট পালট লাগে ,
জলের ভেতরে ঝড় ওঠে , ঝড়ের কারণটা অবশ্যিই
সমুদ্র । কোথাকার কোন অপরিচিত একজনের
জন্যে অপেক্ষা করতে করতে অতি আপন
সমুদ্রকে কাছে টেনেও টানে নি , সমুদ্র ও
ঠেলেছে দূরে কিন্তু
সে রাতে জলকনা বুঝতে পারে যার জন্য
এতো আয়োজন সে সমুদ্রই , সমুদ্র ছাড়া আর কেউ
নয় ।
জলের গ্রামের বাড়ীর সেই পুকুরের শান
বাঁধানো ঘাটে জলজোছনার গভীর রাতে এক সুপুরুষ
বসে ছিলো , তার চোখেও জলের খেলা !
জল তখনো ভাবেনি তার অতি ভালবাসার সমুদ্র তার সামনেই
বসে আছে ! সমুদ্র চোখে জল নিয়ে আবেগে দু হাত
বাড়ায় , জলকণা আমার ঘাট হয়েছে , কানে ধরছি আর ডুব
দেবো না ! সেকি ! আমায় চিনতে পারো নি ? আমি সমুদ্র !
জল ছাড়া কি সমুদ্র বাঁচে ?
জলকণা একবার হাসে , একবার কাঁদে ! আনন্দ অশ্ম্রু
জোছনার নীল আলোয় চিক চিক করতে থাকে !
***
নীরা এই সমস্ত আবোল তাবোল শুধু তোমার পক্ষেই
লেখা সম্ভব ! এটা কি হলো , রূপকথা না কি ?ধ্যুত্ টাইম নষ্ট !!
ছোট্ট করে মেইল পাঠালো সায়ন ।
নীরার চোখের জলে তখন ল্যাপটপের
স্ক্রীনে থাকা ছোট ছোট লেখা গুলো অস্পষ্ট হয় !
নীরা চোখ মুছতেই তা আবার জলে ভরে যায় ,
পৃথিবীতে একমাত্র সায়নই
হয়তো আছে যে তাকে এতো কাঁদানোর অধিকার
রাখে ! পাল্টা মেইলের উত্তর পাঠায় নীরা ..
কোন একদিন
এক সোনা ঝরা বিকেলে
সমুদ্রের পাড়ে বসে
একটু কি তোমার দৃষ্টি খুঁজবে আমায় ?
একটু কি ঝরাবে জল ?
একটু কি ভাববে ,
কেউ চেয়েছিল একসাথে থাকতে এই বিকেলে …
ভালবেসেছিল বলে …
মেইল পেয়ে খানিক্ষণ হাসে সায়ন ! নাহ্ মেয়েটা পাগল
আছে , এই পাগল মেয়েটাকে ও
কতোটা ভালবাসে তা কি করে বলবে ও ? ওর
তো এতো কাব্য আসে না !
ধুর সব ভালবাসায় কাব্য লাগে না ! হাসতে হাসতে নীরার
মেইলের উত্তর দেয় সায়ন
দেখো , আমার অতো কাব্য আসে না , রুপকথার নায়কের
মতো রোমান্টিকতাও নাই আমার , তবে বলি কি সমুদ্র
ধারে একা থাকার চেয়ে জলকণার সাথে বিকেলে আমার
ছোট ফ্ল্যাটের বারান্দায় ট্রাফিক জ্যাম দেখা মনে হয় খুব
পছন্দ হবে আমার ! বাকিটা জলকণার ইচ্ছে !
নীরা রিপ্লাই পেয়ে হাসে … কিন্তু ওর
চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র জল …
হয়তো বা এতো সুন্দর কোনো দৃশ্যের জন্যেই
পৃথিবী থেকে এখনো ভালবাসা মুছে যায় নি !-
নারী মর্যাদা
একটা নারীর যখন জন্ম হয়, ইসলাম বলে -“যার ঘরে
প্রথমে কন্যা সন্তান হয় সেই ঘর বরকতময়”।
নারী যখন যুবতী হয়,
ইসলাম ঘোষনা দেয় – “যে তার
মেয়েকে সঠিকভাবে লালন পালন
করে ভাল পাত্র দেখে বিয়ে দেয় তার
জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।
নারী যখন বিবাহিত, ইসলাম বলে –
“সেই পুরুষই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর
কাছে উত্তম”।
নারী যখন সংসারী, ইসলাম বলে –
“স্ত্রীর দিকে দয়ার
দৃষ্টিতে তাকানো সওয়াবের কাজ।
এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মূখে এক
লোকমা খাবার তুলে দেয়াও”।
নারী যখন গর্ভবতী, ইসলাম বলে –
“গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায়
সে শহীদের মর্যাদা পায়”।
নারী যখন মা, ইসলাম বলে –
“মায়ের পদ তলে সন্তানের জান্নাত।
ইসলাম যখন নারীকে যথাযথ মর্যাদা ও
সম্মান দিয়েছে , তার সুষম অধিকার ও
নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে ,
তাকে আদর্শ একটি পরিবার ও সমাজের
কারিগর
বানিয়েছে সেখানে ইসলামিক ধ্যান
ধারনা বাদ দিয়ে কিছু তথাকথিত
আধুনিক , নারীবাদী,
ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী চিৎকার
করছে নারীর সমান অধিকার, নারীর
ক্ষমতায়ন , নারীর ক্যরিয়ার ইত্যাদির
নামে আসলে নারীকে অসম্মানিত করতে,
নিরাপদহীন করতে, অর্থ ও খ্যাতির
নামে নারীদের পণ্য বানিয়ে কলঙ্কিত
করতে এবং কলুষতা ছড়িয়ে আমাদের
পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় ভাঙ্গন
ধরাতে ।
আর এতে আপনি, আমি, আমাদের মা বোন
সবাই অসুখী , অশালীন , অকল্যাণকর ,
অন্যায্য জীবন ব্যবস্থার দ্বারপ্রান্তে ।
আসুন আমরা সঠিক পথে চলি সঠিক
কথাকে ছড়িয়ে দিই মানবের মাঝে। -
একজন পাগল, যে বদলে দিয়েছিল পাগলের সংজ্ঞা
পরিবারের মধ্যে তিনি ছিলেন ২য়। মানসিক সমস্যার পূর্ব ইতিহাস বিদ্যমান ছিল পরিবারে। তার আপন খালাই ছিলেন মানসিক বিকারগ্রস্থ। আর কিশোর বয়সেই মৃগীরোগের লক্ষণ প্রকাশিত হবার পর অল্প বয়েসে মারা যান তার বড়ভাই। তিনিসহ অপর তিন ছোটভাইয়েরও মৃত্যু হয় মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা গ্রহণ করা অবস্থাতেই। যাদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর কারণ আত্মহত্যা।
চাকুরীজীবনে প্রবেশের পর ক্রমাগত বাড়তে থাকা মর্মপীড়া সহ্য করতে না পেরে কর্মক্ষেত্র ছেড়ে বাড়ী ফিরে আসার পর চব্বিশ বছর বয়সে তিনি নিজেও নিজ কক্ষের জানালা থেকে ঝাপিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করে বাড়ী ফিরে আসার পর তিনি এতটাই ভেঙ্গে পড়েন যে, কথা বলা বন্ধ করে দেন। চিকিৎসাগ্রহণ অবস্থাতেই তিনি আক্রান্ত হন বিষন্নতা ও প্যারানইয়ায়(একপ্রকার মস্তিষ্ক বিকৃতি জনিত রোগ)। তিনি অলীক বিক্ষণেও আক্রান্ত ছিলেন। শারিরীক ও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ার অবস্থায় এরপরের তিনটি বছর তিনি কাটিয়ে দেন বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এ দীর্ঘ সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মচারীদের দ্বারা নানাভাবে ক্রমাগত শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের স্বীকার হন তিনি। যা তার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। মানসিক রোগগ্রস্থদের প্রতি একধরনের নেতিবাচক ধারণা প্রবল ছিল তৎকালে। তাদেরকে অস্বাভাবিক কোনোকিছুর প্রভাবে প্রভাবিত বলে ধারণা করা হতো। পরবর্তীতে অনেকটা স্বপ্রোনোদিত হয়েই তিনি সুস্থ্য হয়ে ওঠেন এবং তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে তিনি লিখেন একটি আত্মজীবনী, বিশেষ করে হাসপাতালে উৎপীড়িত হওয়ার ঘটনাগুলো, যেগুলো তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
বলছিলাম ‘ক্লিফোর্ড উইটিংহাম বিয়ার্স’ এর (১৮৭৬-১৯৪৩) কথা। যিনি “A mind that found itself” বইয়ের লেখক। এই বইটি ছিল ইতিহাসের এক মাইলস্টোন। অত্যন্ত মর্মস্পর্শী ভাষায় তিনি বলতে চেয়েছেন যে, মানসিক রোগীরাও মানুষ। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর আলোড়ন সৃষ্টি হয় গোটা আমেরিকায়। নড়ে-চড়ে বসেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। এরপরই মানসিকভাবে অসুস্থ্য ব্যক্তিদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত চিন্তার সূত্রপাত হয়। ১৯০৮ সালে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগীতায় কানেকটিকাটে বিয়ারস গড়ে তোলেন ‘ন্যাশনাল কমিটি ফর মেন্টাল হাইজিন’ নামক প্রতিষ্ঠান, যা বর্তমানে ‘মেন্টাল হেলথ আমেরিকা’ নামে পরিচিত। এর উদ্দেশ্য ছিল মানসিক রোগের কারণ সংক্রান্ত গবেষণায় ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ট্রেনিঙয়ের জন্যে অর্থ সহায়তা জোগাড়। “Mental Hygiene and Understanding the Child” তারা একটি পাক্ষিক ম্যাগাজিনও প্রকাশ করেন। এর ফলে বিভিন্ন প্রদেশেও সচেতন নাগরিকরা অনুরুপ কমিটি গড়ে তোলেন। এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সহায়তা করেছিলেন জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক এ্যাডলফ্ মেয়ার। ‘Mental Hygiene’ শব্দটি তিনিই সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন এবং এ বিষয়ের উপর মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ লেখালেখি তার বিশেষ অবদান। ব্যক্তিজীবনে তিনি একজন বিখ্যাত মনোচিকিৎসক ছিলেন।
নিরলস পরিশ্রম ও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফলস্বরুপ ১৯৩০ সালে বিয়ার্স-এর তত্বাবধানে ‘ওয়াশিংটন ডিসি’তে অনুষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস ফর ন্যাশনাল হাইজিন, যাতে ৫১টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এই সম্মেলনকে বিয়ার্স-এর জীবনের সর্বোচ্চ চূড়া হিসেবে গণ্য করা হয়। মানবতার জন্য বিশেষ অবদয়ান রাখায় পরবর্তীতে ইয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে তাঁকে একটি সম্মানজনক ডিগ্রি প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ছিলেন।
ব্যক্তিজীবনে বিয়ার্স ছিলেন নিঃসন্তান। স্ত্রী ক্লারা লুইস জিপসন ও বিয়ার্স মানসিক এই সমস্যার ইতিহাস থাকায় সন্তান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
১৯৪৩ সালে সাতষট্টি বয়সে রোডে দ্বীপের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিয়ার্স-এর জীবনাবসান ঘটে। বিয়ার্স চলে গেছেন তবে তার স্বপ্নের সাফল্যগাথা লিপিবদ্ধ রয়ে গেছে ইতিহাসে। মানসিক সীমাবদ্ধতার কাছে হার না মেনে আজীবন লড়ে গেছেন তিনি ।
এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ সময়। মানসিক স্বাস্থ্য বিজ্ঞান স্থান করে নিয়েছে জাতীয় জীবনের অপরিহার্য বিষয়াবলির সাথে। সমাজের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কারো কারো যে সীমাবদ্ধতা, তার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে গবেষণা করে বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সমাজবিজ্ঞানী-মনোবিজ্ঞানীরা।
সভ্যতা এগিয়েছে, বিজ্ঞান তার বিস্ময়কর সব আবিষ্কার দিয়ে প্রতিদিনই চমকে দিচ্ছে বিশ্বকে। মানবমনের রহস্য ও গতি-প্রকৃতি নিয়েও কম হয়নি গবেষণা। তবে মানুষ মানুষকে জেনেছে সামান্যই।
IF U DON’T STOP THIS….WHO WILL?
‘পরীক্ষা তারাতারি শেষ হয়েছিল তাই আমার আরেক বান্ধুবিকে সাথে নিয়ে ক্যান্টিনে চলে গেলাম খেতে। ক্যন্টিনের খাবারের টেবিল ২ টা এর একটা অনেক উচু তাই ওপাশে কেউ থাকলে দেখা যায় না। আমরা সিংগারা অর্ডার করলাম।এরমধ্যেই পাশের উচু টেবিলের পেছন থেকে ছোট একটা বাচ্চার গোঙ্গানির শব্দ,খুব পরিচিত কন্ঠ। ছোট টেবিল থেকে মাথা বের করে তাকিয়ে দেখি ক্যান্টিনের মধ্যবয়সী এক দোকানদার আমাদের এক ম্যাডামের ৪বছরের মেয়ের সাথে কিছু একটা করছে।
প্রতিবাদ করার মত সাহস আমার ছিল না তাই কোন রকম রাগ না দেখিয়ে মেয়েটিকে আস্তে করে ডেকে বললাম ম্যাডাম ওকে ডাকছে।আমরা বাচ্চাটাকে নিয়ে ম্যাডামের কাছে গেলাম আর সব ঘটনা খুলে বললাম। ম্যাডাম কষ্ট পেলেন। তবে তিনিও হয়ত ভয় পেয়েছেন তাই লোকটাকে কিছুই বললেন না আর আমাদেরও বললেন অন্য কাউকে বিষয়টা বলতে না’
গতদিন এই ঘটনা বলছিল আমার ছাত্রী। শুনে প্রথমে খুব খারাপ লাগছিল কিন্তু পরে রাগ হলো।
আমাদের সমাজের প্রতিটি স্তরেই শিশুরা কোন না কোন ভাবে abuse হচ্ছে ।কিন্তু পেপারে ছাপা হচ্ছে না বলে আমাদের কর্ণকুহরে এসব ঘটনা কোন আলোড়নই জাগাতে পারছে না।
গত বছর child এর কোর্সে পড়েছিলাম – সামান্য আঘাত করা , গালি , মানসিক কস্ট , টিটকারি দেয়া,তাচ্ছিল্য করা এই ছোট বিষয় গুলোকেও শিশু মনোবিজ্ঞানীরা child abuse ধরে থাকেন।কারন এই সামান্য আঘাতেই শিশুর জীবনে অনেক বড় ক্ষতি করে যেতে পারে। সেখানে physical abuse শিশুকে জীবনের কোন পরিণতিতে ঠেলে দিতে পারে তা কারোই অজানা থাকার কথা নয়।
সমাজের এসব ঘৃণ্য নরপশুদের কিছু বলার নেই কারন তারা কোন ভাষার ঊর্ধ্বে , তাদেরকে শুধু শাস্তি দিয়েই কিছু বোঝানো সম্ভব । কিন্তু সমাজের আর বাকি মানুষদের কি বলবো ? বাবা-মা ?
একটু সতর্কতা, একটু হেকমতের অভাবে কত শিশু রোজ এভাবে বলি হয়ে যাচ্ছে ভোগ্য পন্য হিসেবে । খবরের কাগজে কালো অক্ষরের ফ্রেমে বন্দি হওয়ার আগে কি কেউ কোন পদক্ষেপ উঠাবে না ?
सदस्यता लें
संदेश (Atom)