शुक्रवार, 3 जून 2016

ধুসর আধার কালো...


জোনাথন ঘুম থেকে উঠে দেখলো মেয়েটি ওকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে।ঐ প্রবল পাগলামির পর কখন যে দুজন ঘুমিয়ে পড়েছে নিজেরাও জানে না।তখন জোনাথনের মাথায় আসেনি,মেয়েটা কে?কোথ থেকে এলো।কিন্তু এখন সব নিয়ে ও ভাবছে।ভাবছে মেয়েটা আসলে কে?ও আলতো করে বিছানা থেকে উঠে পড়লো।একটা প্যান্ট পায়ে গলিয়ে পড়ে নিলো।বাইরে বেরিয়ে জোনাথন দেখলো বিকেল হয়ে এসছে।ওলেকের জলে হাতমুখ ধুলো।তারপর আবার কটেজে যখন ফিরে আসলো তখন দেখলো মেয়েটা বিছানায় উঠে বসে আছে।তার বসার মধ্যে একরকম মোহনীয়তা বিরাজ করছে।
মেয়েটি নরম স্বরে বললো: কি সোনা,ডাকোনি কেনো আমায়।জোনাথন অসস্তি নিয়ে দাড়িয়ে থাকলো।কথা বললো না কোনো।মেয়েটি এবার চিন্তিত হয়ে বললো:কি হয়েছে তোমার?
এবার জোনাথন আস্তে করে বলে উঠলো,কে তুমি?
মেয়েটি অবাক হয়ে বললো: আমি কে মানে?আমি তোমার বিয়ে করা বউ।
জোনাথন শুনে বজ্রাহত হয়ে গেলো।ওর চোখ দুটি কোটর থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।ও ভাবছে আমিতো বিয়েই করিনি।এই মেয়ে কিভাবে আমার বউ হয়।ও কাপা কাপা কন্ঠে বললো:আমি একলা মানুষ।আমি কাউকে বিয়ে করিনি।
মেয়েটি এবার আশসস্ত হয়ে বললো: বুঝেছি আজ তোমার উপর অনেক ধকল গেছে।বলে মেয়েটি মুচকি হাসলো।তারপর বললো:তুমি বসো আমি চা করে আনছি।জোনাথন আবার নির্বাক হয়ে গেলো।এতো সুন্দর কোনো মানুষের শরীর হয়?এই মেয়েতো দেবী!!!
জোনাথন ওর চমক কাটিয়ে ভাবতে লাগলো ও কবে বিয়ে করেছে।ছোটবেলায় অ্যারিজোনায় থাকতে একবার এক মেয়েকে মিথ্যা মিথ্যা বিয়ে করেছিলো তাও তখনও বোঝার বয়স হয়নি সবকিছু।তারপর যখন কিশোর ছিল তখন আরেকটা মেয়েকে ভালো লেগেছিলো।ব্যাস্,এইটুকুই আর কিছুই হয়নি ওর জীবনে।কিন্তু আজকে চেনা নেই জানা নেই হুট করে একজনের সাথে সরাসরি বিছানায়!!!ও ভাবছে মেয়েটা কোনো বেশ্যা হতে পারে না কারন ওর চোখ দুটি পবিত্রতায় ভরা।তাহলে কে এই মেয়ে?ও ভাবতেই ভাবতেই মেয়েটি ঘরে চলে এলো চা নিয়ে।ও দেখলো মেয়েটি এর মধ্যে কাপড়ও পড়ে নিয়েছে।ও মেয়েটিকে বললো : তুমি কাপড় পেলে কোথায়?মেয়েটি বললো : ভালোকথা মনে করেছো তুমি।আমার কিন্তু কাপড় নেই।কাল বাজারে যাবে কিছু জিনিসপত্রের সাথে আমার জন্য কাপড় নিয়ে আসবে।আমি তোমায় লিস্টি দিয়ে দেবো।জোনাথন দেখলো মেয়েটি খুব সরল।সহজ ভঙ্গিতে কথা বলছে যেনো ও মেয়েটির কত্তদিনের চেনা।ও মাথা নিচু করে বললো :তোমার নাম যেনো কি?
মেয়েটি এবার একটু হেসে বললো : ইস্টিনা ম্যারিনা।
জোনাথন এবার মেয়েটির মুখের দিকে তাকালো। ওর মনে হলো মেয়েটির রূপের আলোয় ওর ঘর আলোকিত হয়ে আছে।ম্যারিনা লজ্জা পেয়ে বললো :কি দেখছো অমন করে।জোনাথন তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলো যে,এ মেয়েকে ও বিয়ে করুক আর নাই করুক এই মেয়েই ওর স্ত্রী।
সন্ধ্যার পর থেকেই ম্যারিনাকে কাছে পাবার জন্য জোনাথন অস্থির হয়ে পড়লো।কিন্তু ম্যারিনা আছে তার আর জোনাথনে ছোট্ট সংসারটা গুছিয়ে রাখার প্ল্যান করার মাঝে।ম্যারিনা জোনাথনকে বলছে: কটেজের সাথে একটা এটাচড বাথরুম লাগবে।খাটটা আরেকটু বড় করা লাগবে।রান্না ঘরের পাশে ছোট্ট একটা রুম লাগবে মাংস রাখার জন্য।জোনাথনের এসবের প্রতি কোনো মনযোগ নেই।ও শুধু মাথা নাড়াচ্ছে।জোনাথন ম্যারিনার পিছে গিয়ে বসে ওর কোমরে হাত রাখলো।তারপর ঘাড়ে চুমু দিতে লাগলো।ম্যারিনা এক পর্যায়ে বিরক্ত হয়ে জোনাথনকে বললো :ধূর!!কি শুরু করলে তুমি!!!আমার অনেক কাজ আছে।আর সারা রাততো পড়েই আছে,তখন যতো খুশি চুমু দিয়ো।বলে ম্যারিনা উঠে চলে গেলো স্টোভের কাছে।সাপার চড়াবে বলে।জোনাথন তারপরও ওর পিছু ছাড়লো না।ওরা কাজের ফাকে ফাকে কথা বলতে লাগলো।
তোমার আমার সাথে থাকতে কষ্টো হবে না?জোনাথন মায়াভরে জিঙ্গেস করলো।ম্যারিনা বললো:না।একদম না।আর আমারতো এই পৃথিবীতে কেউ নেই,তুমিতো জানোই।তুমিই আমার সব।আর আমি জানি তুমি আমাকে কখনো কষ্টো দেবে না।
জোনাথন তখনই ঠিক করলো এই মেয়েটাকে সে কখনো কষ্টো দেবে না।
সাপারের পর জোনাথন লেকের ধারে একটু বসলো।সাপারটা চমৎকার ছিলো।মেয়েটা কি সুন্দর স্বপ্ন দেখছে।সংসার করবে।আর মেয়েটার জন্য জোনাথনও এখন স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।ম্যারিনা কটেজের দড়জায় দাড়িয়ে ডাকছে ওকে। ও বললো: কি হয়েছে?ম্যারিনা চেচিয়ে বললো:বাইরে প্রচন্ড বাতাস ভেতরে এসো।ও বললো :আমি একটু পড়ে আসছি।ম্যারিন চলে গেলো।মনে হলে ভেঙছি কেটেই চলে গেলো।ও ভাবলো জীবনটা কত সুন্দর,কত্ত সুন্দর!!!
জোনাথন কিছুক্ষন পর কটেজে ফিরলো।দড়জাটা চাপানো ছিলো।ও ভেতরে ঢুকে বন্ধ করে দিলো সেটা।ও দেখলো ম্যারিনা খাটের বসে আছে ওকে দেখেই বলা শুরু করে দিলো কেনো এই কনকনে ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে বের হতে হলো তোমায়?ও কোনো কথা না বলে ছুটে এসে ম্যারিনার চিবুক দুহাতে ধরে ওর ঠোটে ঠোট রাখলো।চুষে ম্যারিনার লাল ঠোট সাদা বানিয়ে দিলো ও।ম্যারিনা কপট রাগের সূরে বললো : ড্রাকুলা!!
জোনাথনের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে।সে ম্যারিনাকে প্রবলভাবে ভাবে ঝাপটে ধরে ম্যারিনাকে শুইয়ে দিয়ে ম্যারিনার গালে,ঠোটে,চোখে কপালে চুমু দিতে লাগলো।একসময় জোনাথন প্রবেল আবেগে ম্যারিনার নরম বুকে ওর মুখ ডোবালো।
বাইরে বাতাসের প্রবল প্রলয় নৃত্য চলছে।বহুদূরে কোনো একটা নেকড়ে ডেকে উঠে।উউউউউউ....রাতের নিস্তবদতা ভেঙে খান খান হয়ে গেলো তার এই ডাকে।সে এই রাতকে ডাকছে.........

कोई टिप्पणी नहीं:

एक टिप्पणी भेजें